নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৪৫ জন ব্যক্তি ছাড়পত্র পেয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মাত্র ৯ জনকে। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে নতুন করে বরিশাল নগর ব্যতীত বিভাগের ৬ জেলায় ৬৬০ জনেক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশালে প্রবেশ করেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৬ হাজার ১২৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ৫ হাজার ৭১০ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৪৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রাতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪১৩ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ৬৬০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জেলার মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে ৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মাত্র ১ জনকে। এর বাহিরে বিভাগে এ পর্যন্ত ৫২ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, যার মধ্যে ২৯ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীসহ বরিশালে ১০, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ৪ ও ঝালকাঠিতে ৪ জনের কভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া এ পর্যন্ত বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলীতে ১ জন করে ৩ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে। যদিও এর আগে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ২ রোগীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
Leave a Reply